উত্তরদিনাজপুর

মহকুমা শাসক হেনস্থার ঘটনায়, ৬২ জন শিক্ষককে সনাক্ত করল বিদ্যালয় পরিদর্শক

উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ মহকুমা শাসক টি এন শেরপা কে হেনস্থা ঘটনায় ৬২ জন শিক্ষককে সনাক্ত করল জেলা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়  পরিদর্শক। মহকুমা শাসককে হেনস্থার ঘটনায় ইতিমধ্যে দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। তদন্তকারি পুলিশ অফিসার ভিডিও ফুটেজ দেখে শিক্ষকদের চিহ্নিত করেন। বিশদ তথ্য জানতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক কে পাঠানো। মোট ৭২ জনের তালিকা বিদ্যালয় পরিদর্শকের হাতে তুলে দিলেও মোট ৬২ জনকে চিহ্নিত করেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক। সেই তালিকা জেলা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মহকুমা শাসকের দায়ের করা মামলায় এই ৬২ জনকে যুক্ত করা হবে। জেলা শাসক আয়েষা রানী জানিয়েছেন, এই ৬২ জন ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদেরকেও এই মামলায় যুক্ত করা হবে।

উত্তর দিনাজপুর জেলার করনদিঘি রহতপুর হাই মাদ্রাসার শিক্ষক রাজকুমার রায় ইটাহার সোনাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট নিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি নিখোজ হন। ১৫ মে হেমতাবাদ বামুনগা রেল লাইনের ধার থেকে রাজকুমার বাবুর ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষকরা রায়গঞ্জ থানার ঘড়ি মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন। আন্দোলনকারি শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন মহকুমা শাসক টি এন শেরপা। সেখানেই শিক্ষকদের হাতে নিগৃহত হতে হয় মহকুমা শাসককে। মহকুমা শাসক রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা, বে আইনি জমায়েত, হেনস্থা, মারধোর সহ বেশ কিছু আইনে মামলা রুজু করে। ২০ মে এই মামলায় পুলিশ মনোজ ভোমিক এবং প্রদীপ সিনহা কে গ্রেপ্তার করে। চারদিনের পুলিশী হেফাজতের মেয়াদ শেষ করে পুলিশ বৃহস্পতিবার তাদের দুই জনকে আদালতে হাজির করলে রায়গঞ্জ সিজেএম আদালত তাদের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেয়। আগামী ২৮ শে মে তাদের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।